বাংলা সাহিত্য মনে রাখার টেকনিক


বাংলা সাহিত্য মনে রাখার টেকনিক

দীনবন্ধু মিত্র

প্রহসন : বিয়ে পাগলা বুড়ো, সধবার একাদশী
নাটক : জামাই বারিক, লীলাবতী, নবীন তপস্বিনী, কমলে কাহিনী, নীল দর্পণ।
টেকনিক : নবীন জামাই কমল সধবার একাদশীতে লীলাবতীকে নিয়ে নীলদর্পণ নাটক দেখলে এক বুড়োতাকে বিয়ে করার জন্যপাগল হয়ে যায়।
নীল দর্পণ : ঢাকা থেকে প্রকাশিত ১ম গ্রন্থ। মাইকেল মধুসূদন দত্ত নীলদর্পন নাটকটিকে ইংরেজীতে
অনুবাদ করেন ১৮৬১ সালে। নাটকটি দেখতে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মঞ্চে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন।

গিরিশচন্দ্র ঘোষ

ঐতিহাসিক ও পৌরণিক নাটকের টেকনিক : ছত্রপতি শিবাজীর মী-সি-লে রাবন পান্ডবকে বধ করে অ-জানা বনবাসে সীতাকে হরণ করলেন।
নাটক : ছত্রপতি শিবাজী
মী – মীরজাফর
সি –সিরাজদ্দৌলা
লে – লক্ষণবধ
–রাবনবধ
–পান্ডব গৌরব
–অভিমন্যু বধ ও সীতা হরণ (পৌরণিক)
–জনা

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

নাটক-টেকনিক : ক সি সাবনূর প্রায় এক ঘরে জন্ম নিলে প্রতাপ চন্দ্র দাসের আনন্দের পতন ঘটে।
ক – কল্কি অবতার
সি –সিংহল বিজয়
সাবনুর – বঙ্গনারী
সা – সাজাহান
নূর – নূরজাহান
প্রায় – প্রায়চিত্ত
জন্ম – পূনর্জন্ম
প্রতাপ – প্রতাপ সিংহ
চন্দ্র – চন্দ্রগুপ্ত
দাস – দূর্গাদাস
আনন্দ – আনন্দ বিদায়

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

গল্প-টেকনিক : বিলাসীর মেজদিদি বিন্দুর দুই ছেলে মহেশ ও পরেশ আর এক মেয়েসতী, মন্দিরের জমি নিয়ে মামলার ফলে তারা আজ কপর্দকশূন্য।
গল্প : ছবি, বিলাসী, পরেশ, সতী, মহেশ, মন্দির, মামলার ফল, বিন্দুর ছেলে, মেজদিদি।
উপন্যাস-টেকনিক : অরক্ষনীয় গৃহের ছবি দেখে কাশীনাথ শ্রীকান্তকে বললেন “চরিত্রহীনদেবদাস পশুর সমান”।
উপন্যাস :
চ – চরিত্রহীন
দেব – দেবদাস, দেনাপাওনা
দাস – বিপ্রদাশ
প – পরিনীতা
শু – পন্ডিত মশাই
র – পথের দাবী
স – পল্লী সমাজ
মা – রামের সুমতি
ন – চন্দ্রনাথ

ইসমাইল হোসেন সিরাজী

উপন্যাস-টেকনিক : রানুর ফিতা
উপন্যাস :
রা – রায় নন্দিনী
নুর – নুর উদ্দিন
ফি – ফিরোজা বেগম
তা – তারাবাঈ
কাব্য ও মহাকাব্য-টেকনিক : নব-উদ্দীপনা উচ্ছাসে অনল প্রবাহে তুরস্কে ভ্রমন করে স্পেন বিজয় করল।
কাব্য : নবউদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস, অনল প্রবাহ
ভ্রমণ কাহিনী : তুরস্ক ভ্রমন
মহাকাব্য : স্পেন বিজয়

ফররুখ আহমদ

কাব্য-টেকনিক : সাত সাগরের মাঝি সিরাজুম মুনীরা মুহূর্তের মধ্যেই নৌফেল ওহাতেম তাই এর জন্য পাখির বাসা বানাল।
কাব্য :
সাত সাগরের মাঝি
সিরাজুম মুনীরা
মুহূর্তের কবিতা
হাতেম তাই
নৌফেল ও হাতেম
পাখির বাসা
দরিয়া, শেষ রাত্রি, লাশ – সাত সাগরের মাঝি কাব্যের অন্তর্গত।

নবীন চন্দ্র সেন

টেকনিক : পলাশীর যুদ্ধ এবং কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের দুই সৈনিক রৈবতক আর প্রভাসযুদ্ধ না করে অবকাশ রঞ্জিনী পালন করছিল।
পলাশীর যুদ্ধ – গাঁথাকাব্য
কুরুক্ষেত্র, রৈবতক, প্রভাস – ত্রয়ী মহাকাব্য
অবকাশ রঞ্জিনী – কাব্য

মুনীর চৌধুরী

টেকনিক : মুখরা রমনীর শয়নকক্ষে রুপার কৌটায় রাখা দন্ডকারন্যের রক্তাক্ত প্রান্তরে কবরে শায়িত এক যোদ্ধার চিঠির বিষয়ে ঘরের কেউ কিছুবলতে পারেনা।
অনুবাদ নাটক :
মুখরা রমনী বশীকরন
রুপার কৌটা
কেউ কিছু বলতে পারেনা
নাটক :
রক্তাক্ত প্রান্তর
চিঠি
দন্ডকারন্য
কবর

জসীম উদ্দীন

টেকনিক : পদ্মা পাড়ের বেদের মেয়ে মধুমালার সাথে অন্য গ্রামের মেয়ে একপল্লীবধূর বন্ধুত্ব সবার মুখে মুখে।
নাটক : পদ্মাপাড়
বেদের মেয়ে
মধুমালা
পল্লীবধূ
গ্রামের মেয়ে
উপন্যাস :
বোবা কাহিনী
কাব্য-টেকনিক : হলুদ বরনীর দেশে হাসু , ডালিম কুমার, সখিনা ও সূচয়নী ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে এক পয়সার বাঁশি বাজিয়ে ধানক্ষেতের বালুচরে মাটির তৈরী কবর জলেলেখা নকশী কাথার কাফন মুড়িয়ে সোজন বাদিয়ারঘাটে এসে রাখালীর মা পল্লী জননী রঙ্গিলা নায়েরমাঝির জন্য কাঁদতে লাগল।
কাব্য :
হলুদ বরনী
জলে লেখন
হাসু
নকশী কাথার মাঠ
ডালিম কুমার
কাফনের মিছিল
সখিনা
সোজন বাদিয়ার ঘাঁট
সূচয়নী
রাখালীর মা
ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে
রঙ্গিলা নায়ের মাঝি
এক পয়সার বাঁশি
মা যে জননী কাদে
ধানক্ষেত
বালুচর
মাটির কান্না

জীবনানন্দ দাশ

উপন্যাস ও প্রবন্ধ-টেকনিক : সতীর্থ তার জলপাইহাটী নিবাসী বান্ধবী কবিতার কথায়তার ছোট বোন কল্যানীকে মাল্যদান করল।
উপন্যাস :
জলপাই হাটি
সতীর্থ
কল্যানী
মাল্যদান
প্রবন্ধ : কবিতার কথা
কাব্য-টেকনিক : এই মহাপৃথিবীর মাঝে বেলা অবেলা কালবেলায় সাতটিতারার তিমিরে রুপসী বাংলার মেয়ে বনলতা সেন কুড়িয়েপাওয়া ঝরা পালকটি ধূসর পান্ডুলিপির ভেতর যত্ন করেরাখল।
কাব্য :
রুপসী বাংলা
বনলতা সেন
ধূসর পান্ডুলিপি
ঝরাপালক
বেলা অবেলা কালবেলা
সাতটি তারার তিমির
মহা পৃথিবী

মীর মশাররফ হোসেন

প্রহসন-টেকনিক : ভাইয়ে ভাইয়ে ফাঁস কাগজে একি করল ? এর উপায় কি?
প্রহসন :
ভাই ভাই এই তো চাই
একি
এর উপায় কি
ফাঁস কাগজ
নাটক-টেকনিক : বেটা বসন্ত জমিদার
নাটক :
বে – বেহুলা গীতাভিনয়
টা- টালা অভিনয়
বসন্ত – বসন্ত কুমারী
জমিদার – জমিদার দর্পন
উপন্যাস-টেকনিক : রত্নাবতী বিষাদসিন্ধুর পানে তাকিয়ে থাকা উদাসীন পথিকের মনের কথা বুঝতে পেরে বাঁধা তাটি
গাজী মিয়ার বস্তানীতেরাখলেন।
উপন্যাস :
রত্নাবতী – বাংলা সাহিত্যের মুসলমান রচিত ১ম
উপন্যাস
বিষাদসিন্ধু
গাজীমিয়ার বস্তানী
বাঁধা খাতা
উদাসীন পথিকের মনের কথা

কায়কোবাদ

কাব্য ও মহাকাব্য-টেকনিক : অমিয়ের সাথে কুসুমের আর দহরম মহরম নেই, বিরহ চলছে। তাই সে মহাশ্মশানের শিব মন্দিরে অশ্রুমালা বিসর্জন দিল।
কাব্য :
অমিয়ধারা
কুসুমকানন
মহরম শরীফ
বিরহ বিলাপ
শিব মন্দির
অশ্রুমালা
মহাকাব্য :
মহাশ্মশান
মহাশ্মশান : বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কতৃক রচিত ১ম মহাকাব্য।মহাশ্মশান ১৯০৩ সালে রচিত হয়। এটি পানি পথের তৃতীয়যুদ্ধ নিয়ে রচিত।

বিহারীলাল চক্রবর্তী

বিহারীলাল চক্রবর্তী-ভোরের পাখি
বিহারীলাল চক্রবর্তী-গীতিকবিতার জনক
বিহারীলাল চক্রবর্তী-রবিঠাকুরের কাব্য গুরু
পত্রিকা-টেকনিক : অবোধ বন্ধু বিহারীলাল সাহিত্য সংক্রান্তিতে পূর্নিমার হাত ধরেবসে আছে।
পত্রিকা :
অবোধ বন্ধু
সাহিত্য সংক্রান্তি
পূর্নিমা
কাব্য-টেকনিটক : বংগ সুন্দরী সারদার সংগীতের প্রতি নিসর্গ প্রেম তার স্বপ্ন ও মনে সাধের আসন গেড়ে বসেছে
কাব্য :
বংগ সুন্দরী
সারদা মঙ্গল
সংগীত শতক
নিসর্গ সন্দর্শন
প্রেম প্রবাহিনী
স্বপ্ন দর্শন
সাধের আসন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছোটগল্প-টেকনিক : পোস্টমাস্টার কাবুলিওয়ালা দেনা পাওনার কর্মফলে হৈমন্তিরদিদির পত্র রক্ষা করতে পারল না।
ছোট গল্প :
পোস্টমাস্টার
কাবুলিওয়ালা
দেনা পাওনা
কর্মফল
হৈমন্তি
দিদি
পত্র রক্ষা
প্রেমের গল্প-টেকনিক : দূর আশায় দৃষ্টিদান করে ল্যাবরেটরীর অধ্যাপক তার নষ্টনীড়জীবনের শেষের রাত্রির শেষ কথার সমাপ্তি টেনে স্ত্রীর কাছে পত্র লেখেন।
প্রেমের গল্প :
ল্যাবরেটরী
অধ্যাপক
নষ্টনীড়
শেষ রাত্রি
সমাপ্তি
স্ত্রীর পত্র
একরাত্রি
দূর আশা
দৃষ্টিদান
উপন্যাস-টেকনিক : কেউ করুণা‬ করে আমাকে বউ‬ ঠাকুরানীর হাঁটে পৌঁছে দিও। সেখানে হয়ত ‎রাজর্ষি‬ কে খুঁজে পাব, আগামী মাসে তার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, কিন্ত নৌকাডুবি’র ফলে তার সাথে আমার সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আমি এখন তার চোখের‬ বালি, আমার ‎দুইবোন আর ভাই গোরা কে অনেক খুঁজেছি, পাইনি। অবশেষে চতুরঙ্গ জীবনের ‎চার‬ অধ্যায় পেরিয়ে ‎‎মালঞ্চ কোণে‬ বসে লিখছি শেষের‬ কবিতা
উপন্যাস (১২টি) :
১। করুণা
২। বউ‬ ঠাকুরানীর হাঁটে
৩। রাজর্ষি
৪। নৌকাডুবি
৫। যোগাযোগ
৬। চোখের‬ বালি
৭। দুইবোন
৮। গোরা
৯। চতুরঙ্গ
১০। চার‬ অধ্যায়
১১। মালঞ্চ
১২। শেষের‬ কবিতা।

আল মাহমুদ

কাব্য-টেকনিক : কালের কলসে হারিয়ে যাওয়া লোক-লোকান্তরে প্রচলিত কাহিনী–বখতিয়ারের ঘোড়ায় সোনালী কাবিন চাপিয়ে আল-মাহমুদ একচক্ষু হরিণ শিকার করেছিলেন।
কাব্য :
লোক লোকান্তরে
কালের কলস
সোনালী কাবিন
বখতিয়ের ঘোড়া
একচক্ষু হরিণ
উপন্যাস-টেকনিক : আগুনের মেয়ে সুন্দর পুরুষকে দেখে তারডাহুকী রুপ ধারন করেছিল।
উপন্যাস :
ডাহুকী
আগুনের মেয়ে
পুরুষ মেয়ে
গল্পঃ পানকৌড়ির রক্ত

জসীম উদদীন

গ্রন্থাবলি

কাব্যগ্রন্থ :
রাখালী (১৯২৭)
নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯)
বালুচর (১৯৩০)
ধানখেত (১৯৩৩)
সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪)
রঙিলা নায়ের মাঝি(১৯৩৫)
রুপবতি (১৯৪৬)
মাটির কান্না (১৯৫১)
সকিনা (১৯৫৯)
সুচয়নী (১৯৬১)
ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৬২)
মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩)
হলুদ বরণী (১৯৬৬)
জলে লেখন (১৯৬৯)
কাফনের মিছিল ((১৯৮৮)
টেকনিক : হলুদ বরনীর দেশে হাসু , ডালিম কুমার, সখিনা ও সূচয়নী ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে এক পয়সার বাঁশি বাজিয়ে ধানক্ষেতের বালুচরে মাটির তৈরী কবর জলেলেখা নকশী কাথার কাফন মুড়িয়ে সোজন বাদিয়ারঘাটে এসে রাখালীর মা পল্লী জননী রঙ্গিলা নায়েরমাঝির জন্য কাঁদতে লাগল।
নাটক :
পদ্মাপার (১৯৫০)
বেদের মেয়ে (১৯৫১)
মধুমালা (১৯৫১)
পল্লীবধূ (১৯৫৬)
গ্রামের মেয়ে (১৯৫৯)
ওগো পুস্পধনু (১৯৬৮)
আসমান সিংহ (১৯৮৬)
টেকনিক : পদ্মা পাড়ের বেদের মেয়ে মধুমালার সাথে অন্য গ্রামের মেয়ে একপল্লীবধূর বন্ধুত্ব সবার মুখে মুখে।
আত্মকথা :
যাদের দেখেছি ((১৯৫১)
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায় (১৯৬১)
জীবন কথা ( ১৯৬৪)
স্মৃতিপট (১৯৬৪)
উপন্যাস :
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
ভ্রমণ কাহিনী :
চলে মুসাফির (১৯৫২)
হলদে পরির দেশে ( ১৯৬৭)
যে দেশে মানুষ বড় (১৯৬৮)
জার্মানীর শহরে বন্দরে (১৯৭৫)
সঙ্গীত :
জারি গান (১৯৬৮)
মুর্শিদী গান (১৯৭৭)
রঙিলা নায়ের মাঝি
গল্পগ্রন্থ :
বাঙালির হাসির গল্প
শিশুতোষ :
হাসু (১৯৩৮)
এক পয়সার বাঁশী (১৯৫৬)
ডালিমকুমার (১৯৮৬)
‘কবর’ কবিতাটি তিনি দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন রচনা করেন, যা কল্লোল পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৬ সালে। যার সম্পাদক দীনেশরঞ্জন দাশ। এই কবিতায় মোট ১১৮টি লাইন রয়েছে। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা।
♦‌ ‘রাখালী’ তার প্রথম কাব্য। এতে ১৮টি কবিতা রয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন কল্লোল পত্রিকার সম্পাদক দীনেশরঞ্জন দাশ।
তার একমাত্র উপন্যাস ‘বোবা কাহিনী’। এর কয়েকটি চরিত্র : আজহার, বছির, রহিমদ্দী, কারিগর, গরীবুল্লাহ মাতবর।
♦‌ ‘মধুমালা’ লোকসাহিত্যের উপাদাননির্ভর নাটক।
‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যের চরিত্র হলো, সাজু, রূপাই, খেদির মা, সাজুর মা। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন মিসেস ই এম মিলফোর্ড। এর ইংরেজি নাম ‘The Field of the Embroidered Quilt’.
‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যের নায়ক-নায়িকা হলো সোজন ও দুলী।


























বাংলা সাহিত্য মনে রাখার টেকনিক বাংলা সাহিত্য মনে রাখার টেকনিক Reviewed by Unknown on ১১:২৩ AM Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.